যশোরের শার্শার বাগআঁচড়া ইউনিয়নে টিসিবির পণ্য আত্মসাতের অভিযোগে চেয়ারম্যান আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ৬ জন ইউপি সদস্যসহ বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। এ সময় তারা চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক ও তার কর্মী শফিক মাহমুদকে প্রায় দুই ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা গেছে, বুধবার সকাল ১০টার দিকে শার্শার বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদে টিসিবির পণ্য বিতরণ চলছিল। এ সময় পণ্য বিতরণে অনিয়ম ও আত্মসাতের অভিযোগকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান আব্দুল খালেকের কর্মী শফিক মাহমুদ ও ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমান বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে শফিক মাহমুদ ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমানকে ধাক্কা দিলে পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করে। বিক্ষুদ্ধ জনতা এ সময় চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক ও তার কর্মী শফিক মাহমুদকে প্রায় দুই ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে।
এদিকে ক্ষুব্ধ জনসাধারণ বাগআঁচড়া বাজারে চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক ও তার কর্মী শফিক মাহমুদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ফোর্স নিয়ে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জিয়াউর রহমান বলেন, টিসিবির পণ্য বিতারণে অনিয়ন ও আত্মসাতের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় চেয়ারম্যান আব্দুল খালেকের কর্মী শফিক মাহমুদ আমার ওপর হামলা করেছে। আমি এই ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হলেও আমাকে পরিষদ থেকে বেরিয়ে যেতে বলেছে।
এ ব্যাপারে বাগআঁচড়া বসতপুর ১ নম্বর কোলনীর ইউপি সদস্য আব্দুল মালেক বলেন, টিসিবির পণ্য বিতরণ করা হয় এটা আমি জানি না। চেয়ারম্যান আমাকে বলেনি। জিয়াউর রহমান মেম্বরের ওপর হামলা হওয়ার পর সংবাদ শুনে আমি পরিষদে গিয়েছি।
বসতপুর ১ নং কলোনীর ইসরাফিল বলেন, আমি টিসিবির পণ্য তুলতে যেয়ে দেখি আমার পণ্য নেই। কারা উঠিয়ে নিয়েছে তাও জানি না।
ইউপি সদস্য আবু তালেব বলেন, আমি নির্বাচিত হওয়ার পর ইউনিয়ন পরিষদে ঢুকতে পারছি না চেয়ারম্যান আব্দুল খালেকের পোষ্য সন্ত্রাসী শফিক মাহমুদের কারণে। সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করলেও সে হত্যার হুমকিসহ এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেয়। তাই নির্বাচিত হয়েও গত ৯ মাস পরিষদের বারান্দায় উঠতে পারিনি।
এ ব্যাপারে বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক বলেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী টিসিবির পণ্য বিতরণ চলছিল। এ সময় জিয়াউর রহমান মেম্বরের সাথে শফিকের একটি ঝামেলা হয়েছে। পরে সেটি মিটে গেছে।
এ ব্যাপারে বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ কাজী শহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনা শোনার সাথে সাথে আমি পুলিশ ফোর্স সাথে নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে বলে তিনি জানান।