যশোরে হত্যা ও অস্ত্র মামলায় দুইজনের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
রোববার (২১ আগস্ট) আসামিদের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরমান হোসেন এ আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন- যশোর শহরতলীর খোলাডাঙ্গার রহমত আলীর ভাড়াটিয়া মৃত আব্দুল মালেক হাওলাদারের ছেলে কবির হাওলাদার ও শার্শার উলাশী গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে যশোর শহরতলীর শেখহাটি গ্রামের বাসিন্দা রোজনুজ্জামান শাওন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, গত ১০ জুন খোলাডাঙ্গার আসাদের আমবাগান থেকে অপরিচিত এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে নিহত ব্যক্তি লাভলু হোসেন বলে শনাক্ত করে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহতের ছেলে ও স্ত্রীকে আটক করে পুলিশ। ছেলে শাকিলের স্বীকারোক্তিতে একজনকে অস্ত্রসহ আটক ও লাভলুকে সন্ত্রাসী কামরুলের ঘরে হত্যা করা হয়েছে বলে জানা যায়। এ ব্যাপারে নিহতের বাবা আব্দুল মান্নান ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে কোতয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন। আসামি কবির হাওলাদার, রফিকুল ইসলাম, মেহেরুন খাতুন, শারমিনা আদালতে আত্মসমর্পণ করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এ হত্যা মামলায় তাদের প্রত্যেককে ৫ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। গতকাল রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক কবির হাওলাদারের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অপর তিন আসামির রিমান্ড না মঞ্জুর করা হয়েছে।
অপরদিকে, ১৪ আগস্ট যশোরের র্যাব গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যশোর বেনাপোল সড়কের পারবাজার শাহজান আলীর স’ মিলের সামনে থেকে সন্দেহজনভাবে তিনজনে আটক করে। তারা হলেন- রোকনুজ্জামান শাওন, আল মামুন ও রুবেল হোসেন। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করা হয়। আটকরা ব্যাংকের গ্রাহকের টাকা ছিনতাইয়ের উদ্দেশে ঘটনাস্থলে অবস্থান করছিল বলে তারা স্বীকার করে। এ ব্যাপারে র্যাবের ডিএডি আব্দুল মোতালেব বাদী হয়ে আটক তিনজনের বিরুদ্ধে ঝিরগাছা থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আটক তিনজনের ৫ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। গতকাল আসামিদের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক রোকনুজ্জামান শাওনের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে অপর আসামিদের রিমান্ড নামঞ্জুর করেছেন বিচারক।