সাতক্ষীরা-যশোর বাস মালিক সমিতির দ্বন্দ্বের জেরে সাতক্ষীরা-যশোর রুটে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। পাঁচ দিনেও এ সমস্যার সমাধান না হওয়ায় যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত প্রায় এক বছর ধরে যশোর-সাতক্ষীরা রুটে বাস চলাচলে ট্রিপ ভাগাভাগি নিয়ে দুই জেলার মালিক সমিতির মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। গত দু'মাস আগে যশোর ও সাতক্ষীরার বাস মালিকরা মিলে সাময়িকভাবে বিষয়টি সমাধান করার পর চলাচল আবার স্বাভাবিক হয়। জটিলতা নিরসন করে কিছুদিন বাস চলাচল করলেও ৯ আগস্ট থেকে আবার বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে যশোরের বাস বাগআঁচড়া পর্যন্ত, একইভাবে সাতক্ষীরার বাসও বাগআঁচড়া পর্যন্ত চলাচল করছে। এ কারণে যাত্রীদের বাধ্যতামূলকভাবে বাগআঁচড়ায় নামতে হচ্ছে। সরাসরি বাস চলাচল না করায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। বিশেষ করে নারী ও শিশুরা বেশি হয়রানির শিকার হচ্ছে।
যশোর আন্তঃজেলা পরিবহন মালিক সমিতির বাঁধার মুখে গত ৮ আগস্ট থেকে সাতক্ষীরা-যশোর রুটে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
সাতক্ষীরা মালিক সমিতির অভিযোগ, ৭ আগস্ট যশোরের বাস মালিক সমিতির লোকজন সাতক্ষীরা মালিক সমিতির যাত্রীবাহী বাস আটকিয়ে খালি গাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয় সাতক্ষীরায়। একই সাথে পরদিন থেকে সাতক্ষীরা কোনো যাত্রীবাহী বাস যশোর জেলা সীমান্তে ঢুকতে দিতে বাধা দেয়া হয়। ফলে কাটা লাইনে চলাচল করতে হচ্ছে উভয় জেলার যাত্রীদের। এতে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে যাত্রীদের। শিশু ও বয়স্ক যাত্রীদের নিয়ে চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে পরিবারের লোকজনকে।
বার বার চিঠি দেয়া সত্ত্বেও যশোর আন্তঃজেলা পরিবহন মালিক সমিতির সেক্রেটারির টালবাহানার অভিযোগ করে সাতক্ষীরার বাস মালিক জানান, অসন্তুষ্ট হয়ে কাটা লাইনে বাস চালানো হচ্ছে।
সাতক্ষীরা যশোর মালিক সমিতির মধ্যে দশ বছরের চুক্তি শেষ হওয়ার পর সাতক্ষীরার বাসের টিপ বাড়ানোর দাবি বাস্তবায়ন না করে টালবাহানা করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে সাতক্ষীরা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির আহ্বায়ক এ সমস্যা সমাধানে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেন।
উভয় জেলার প্রশাসন ও বাস মালিক সমিতিকে নিয়ে সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানালেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির।
সাতক্ষীরার ৩৬টি বাস ও যশোরের ৬১টি বাসের টিপ ভাগাভাগি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গোলযোগ চলে আসছে সাতক্ষীরা বাস মিনিবাস মালিক সমিতি ও যশোর আন্তঃজেলা পরিবহন মালিক সমিতির মধ্যে।