ত্রুটিপূর্ণ স্লুইসগেট নির্মাণ, শার্শায় ৫ ইউনিয়ন প্লাবিত - যশোর নিউজ - Jessore News

Breaking

Post Top Ad


Post Top Ad

Responsive Ads Here

Thursday, August 13, 2020

ত্রুটিপূর্ণ স্লুইসগেট নির্মাণ, শার্শায় ৫ ইউনিয়ন প্লাবিত

 


যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের ত্রুটিপূর্ণ স্লুইসগেট নির্মাণের কারণে ভারতের ইছামতি নদীর পানিতে শার্শা উপজেলার পাঁচ ইউনিয়ন প্লাবিত হচ্ছে। পানির নিচে নষ্ট হচ্ছে বিপুল পরিমাণ জমির ফসল।

ইছামতির জোয়ারের পানি শার্শার রুদ্রপুর ও পুটখালির খলশী খাল দিয়ে প্রবেশ করছে। উপজেলায় তিনটি স্লুইসগেট থাকলেও তার কোনো রক্ষাণাবেক্ষণ নেই। নেই নজরদারিও।

স্থানীয় চাষিদের অভিযোগ, উপজেলার পুটখালি, গোগা, উলাশী, বাগআঁচড়া ও কায়বা ইউনিয়নের প্রায় তিন হাজার হেক্টর জমির ফসল পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে। ইছামতির সাথে সংযুক্ত রুদ্রপুর ও খলশী খালে ক্রটিপূর্ণ স্লুইসগেট নির্মাণের ফলে নদীর ভারতীয় অংশের পানিতে এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।

চাষি আমিনুর রহমান বলেন, ‘ইছামতির পানি ঠেকাতে রুদ্রপুর খালে দুটি ও খলশী খালে একটি স্লুইসগেট নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু এগুলোতে ত্রুটি থাকায় তা কোনো কাজে আসছে না। দুই খাল দিয়েই ভারতের পানি ঢুকে শার্শার বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। রুদ্রপুর ও খলশী খালে পাম্পসহ স্বয়ংক্রিয় গেট নির্মাণ করলে এর স্থায়ী সমাধান হবে এবং চাষিরা ১২ মাস ঘরে ফসল তুলতে পারবেন।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৌতম কুমার শীল জানান, পাঁচ ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে ২০ হাজার ১৩১ হেক্টর জমিতে ফসল লাগানো হয়েছে। কিন্তু ভারতের উজানের পানিতে ২ হাজার ৯৭০ হেক্টর জমির ধান, পাট ও সবজি তলিয়ে গেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে বেনাপোলের পুটখালী ইউনিয়নে। এখানে ৪০০ হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। কায়বায় ৩৫০, গোগায় ২২৫, বাগআঁচড়ায় ২৫০ ও উলশীতে ১২৫ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মন্ডল বলেন, ‘স্থানীয় চেয়ারম্যানদের মুখে শুনেছি ভারতের পানি রুদ্রপুর ও খলশী খাল দিয়ে ঢুকে ফসলের ক্ষতি করছে। এসিল্যান্ড ও ইঞ্জিনিয়ারকে সাথে নিয়ে পুটখালী ও বারোপোতার বিভিন্ন অঞ্চল পরিদর্শন করেছি। ইছামতি নদীর পানির সমস্যাটা আন্তর্জাতিক ব্যাপার। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড ইচ্ছা করলে এর সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে পারে।’

Post Top Ad

Responsive Ads Here