যশোরে করোনাকালে শিক্ষার্থীদের মেস ভাড়া পূর্বঘোষিত ৬০ ভাগ মওকুফের দাবিতে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। বুধবার তিনটি ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, করোনা মহামারী আকার ধারণ করেছে। ফলে একদিকে জনজীবন স্বাস্থ্যঝুঁকিতে অন্যদিকে অর্থনৈতিক নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হয়েছে। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনও এক চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। গত মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ।
উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পর্যাপ্ত আবাসিক ব্যবস্থা না থাকায় অধিকাংশ শিক্ষার্থী মেস ভাড়া করে থাকতে হয়। যেহেতু শিক্ষার্থীদের অধিকাংশ গ্রামের কৃষক ঘরের সন্তান। তাই এদের মেস খরচ বাড়ি থেকে দিতে না পারায় বাসায় বাসায় টিউশনি করে মেটাতে হয়। কিন্তু মার্চ মাস থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ এবং লকডাউন ঘোষণা করায় শিক্ষার্থীরা মেস ছেড়ে বাড়িতে যেতে বাধ্য হয়েছে। তাদের আয়ের উৎস টিউশনিও বন্ধ হয়ে যায়।
এ দিকে গত ৪ মে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসনের সভায় মেস মালিক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে মেস ভাড়া ৬০ শতাংশ মওকুফের ঘোষণা দেয়া হয়। কিন্তু গত ৩০ মে বিভিন্ন মিডিয়ায় বলা হয়েছে মেস ভাড়া ৬০ ভাগের পরিবর্তে ২৫ ভাগ মওকুফ করা হয়েছে। ওই সভায় কোনো ছাত্র প্রতিনিধি ছিল না। ২৫ ভাগ মওকুফের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক, অমানবিক।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জেলা শাখার সভাপতি উজ্জ্বল বিশ্বাস, সহ-সভাপতি ইমরান খান, সাধারণ সম্পাদক পলাশ পাল, স্কুলবিষয়ক সম্পাদক শ্যামলী আক্তার মনীষা, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন জেলা শাখার সম্পাদক অনুপম আইচ।