মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে গত ২৬ এপ্র্রিল যশোর জেলা প্রশাসন যশোরকে লকডাউন ঘোষণা করেন এবং ৩০ এপ্রিল সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে যশোর বড় বাজারের কাচা বাজার ও মাছ বাজারকে ঈদগাহ মাঠ এবং টাউনহল মাঠে স্থানন্তর করেন। কিন্তু এত কিছুর পরও সাধারণ জনগন এসব কিছুই মানছেন না। বিনা প্রয়োজনে শহরের এসে ঘোরাঘুরি করছে। ফলে ভীড় বাড়ছে। অন্যদিকে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যে বাজার স্থানন্তর করা হয়েছে সেখানেও মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। গা ঘেষাঘেষি করে বাজার করতে দেখা গেছে ক্রেতাদের।
এদিকে সরকারী ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১০ মে সকল দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার নির্দেশ দেওয়ার পর থেকেই যশোরে বাড়ছে দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার প্রতিযোগিতা। ঘোষণার পরপরই তারা দোকান খুলতে শুরু করেছেন। মোড়ে মোড়ে চায়ের দোকানসহ বিভিন্ন দোকানে বাড়ছে আড্ডা। এ ব্যাপারে প্রশাসনের তেমন কোনো তাদারকি নেই।
শহরের প্রাণকেন্দ্র দড়াটানায় ৮ এপ্রিল ( শুক্রবার ) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জনসমাগম বৃদ্ধি পেয়েছে বহুগুণে। বড় বাজারে ঢোকার প্রবেশ মুখে ব্যারিকেট দেওয়ার পরও মানুষ তা মনছে না। সকালে এক পুলিশ সদস্য ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে ব্যারিকেট সরিয়ে মটোরসাইকেল নিয়ে বড় বাজারে প্রবেশ করে। এতে পাশে থাকা একজন হকার বাধা দিলে ঐ পুলিশ সদস্য তাকে হুমকি দিয়ে চুপ করিয়ে দেয়। পাশেই টহলরত পুলিশ সদস্যরা থাকলেও তাদের কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। শহরের এমন পরিস্থিতি দেখে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে। তাদের মতে এমনভাবে চলতে থাকলে যশোরও চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।