করোনাযোদ্ধাদের জন্য যশোরে শেখ হাসিনা প্রযুক্তি পার্ক ব্যবহার শুরু - যশোর নিউজ - Jessore News

Breaking

Post Top Ad


Post Top Ad

Responsive Ads Here

Wednesday, May 6, 2020

করোনাযোদ্ধাদের জন্য যশোরে শেখ হাসিনা প্রযুক্তি পার্ক ব্যবহার শুরু


করোনা মোকাবেলায় চিকিৎসাসেবীদের জন্য যশোরের শেখ হাসিনা সফটওয়্যার প্রযুক্তি পার্ক ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ। চিকিৎসক, নার্স এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের কোয়ারেন্টাইনে রাখতে পার্কের ডরমিটরি ব্যবহার করা হচ্ছে। গত শুক্রবার থেকে ডাক্তার নার্সসহ স্বাস্থ্য কর্মীরা আইসিটি পার্কটি ব্যবহার করতে শুরু করেছে। এ ছাড়া করোনাভাইরাসের সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে বাংলায় গ্রাফচিত্রসহ মানচিত্র ভিত্তিক ‘কোভিড-১৯ ট্রাকার’ তৈরি করেছে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ। ট্র্যাকারটির মাধ্যমে দেশ ও সারাবিশ্বে কিভাবে করোনাভাইরাস ছড়াচ্ছে প্রতি মুহূর্তে তার হালনাগাদ তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। প্রতি মুহূর্তে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াও নতুন সংক্রমিত রোগীর সংখ্যাও জানা যাবে।

আইসিটি বিভাগ জানিয়েছে, যশোরের পার্কটি বহুতল বিশিষ্ট। এখানে বহু সংখ্যক ডাক্তার নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মী স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পারবেন। তাই জাতীয় স্বার্থে পার্কটি ছেড়ে দেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার ওই পার্কে আইসিটি কার্যক্রম চলবে। তবে কিছু জায়গা আইসিটির জন্য খোলা রাখা হযেছে। সেখানে আইসিটি কার্যক্রমও চলবে। আইসিটির বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, করোনা চিকিৎসাসেবীদের শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের ডরমিটরি ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয়েছে। করোনা যুদ্ধের প্রথম সারির যোদ্ধা চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্য কর্মীদের কোয়ারেন্টাইনে ব্যবহৃত হচ্ছে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের ডরমিটরি। এ ছাড়া কয়েকটি ফ্লোর ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহারের জন্য ছেড়ে দেয়ার চিন্তা করা হচ্ছে। গত ২৫ এপ্রিল থেকে ৬ নার্স এবং ৪ চিকিৎসক শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের ডরমিটরিতে কোয়ারেন্টাইনে আছেন। ভবনটিতে শতাধিক চিকিৎসক ও সেবিকাদের কেয়ারেন্টাইনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। দোতলা ভবনে রয়েছে ৭৮ কক্ষ। সেখানে প্রতি তলায় ২০টি করে মোট ৪০টি কক্ষ ইতোমধ্যেই প্রস্তুত করা হয়েছে। আরও ১০টি কক্ষ প্রস্তুতের কাজ চলছে।

যশোরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, যশোরের ৮ উপজেলায় মোট ৫৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৪ জন আইসোলেশনে রয়েছেন। রোগীদের বক্ষব্যাধি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

এদিকে, করোনাভাইরাসের সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে বাংলায় গ্রাফচিত্রসহ মানচিত্র ভিত্তিক ‘কোভিড-১৯ ট্রাকার’ তৈরি করেছে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ। সম্প্রতি এই ট্র্যাকারটির উদ্বোধন করেছেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ট্র্যাকারটির মাধ্যমে দেশ ও সারাবিশ্বে কিভাবে করোনাভাইরাস ছড়াচ্ছে প্রতি মুহূর্তে তার হালনাগাদ তথ্যচিত্র প্রকাশ করা হচ্ছে। প্রতি মুহূর্তে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াও নতুন সংক্রমিত রোগী, মোট মৃতের সংখ্যা, সুস্থ, সঙ্কটাপূর্ণ মৃত্যু হারের সর্বশেষ এই ট্র্যাকারে পাওয়া যাচ্ছে।

Post Top Ad

Responsive Ads Here