করোনাভাইরাসের ভয়ের মধ্যেই যশোরে নতুন সমস্যা হিসেবে যুক্ত হয়েছে মশা। মশার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন যশোরবাসী। দিনে-রাতে সমানতালে মশার উৎপাত চলছে। এতে ডেঙ্গুর শঙ্কা বেড়েছে।
গত চার মাসে যশোর শহরের ওয়াপদা এলাকার গোলাম রহমানসহ চার জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। তারা যশোর আড়াইশ শয্যা হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হন।
যশোরে গত বছরে জুলাই মাসে ডেঙ্গুর প্রভাব দেখা দিয়েছিল। এবার জানুয়ারিতেই যশোরে ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত হয়ে। এখন মশার উৎপাত বাড়ায় আগাম ডেঙ্গুর শঙ্কাও দেখা দিয়েছে।
যশোর শহরের ঘোপ এলাকার আমিরুল ইসলাম জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর মশার উৎপাত অনেক বেশি। একই অভিযোগ পুরাতন কসবার মাহমুদুল হাসান, খালধার রোডের রোক ব্যাপারী, বেজপাড়ার ইসলাম হোসেনসহ একাধিক বাসিন্দার। তারা বলছেন মশা নিধনে পৌর সভার কোনো পদক্ষেপই নজরে পড়ছে না।
তবে মশা নিধনে ইতোমধ্যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন যশোর পৌরসভার প্যানেল মেয়র হাবিবুর রহমান চাকলাদার।
তিনি বলেন, ‘যশোরকে ডেঙ্গু মুক্ত রাখতে পৌরসভা প্রচুর কাজ করে যাচ্ছে।’
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানান, ডেঙ্গু প্রতিরোধের সব ব্যবস্থা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের রয়েছে। এছাড়া ডেঙ্গু প্রতিরোধে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনের মাসিক সভায় আলোচনা ছাড়াও বিভিন্ন প্রচার প্রচারণা চালানো হয়েছে, যা এখনও অব্যহত আছে।
সিভিল সার্জন বলেন, ‘জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাব অনুযায়ী গত বছর যশোরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন চার হাজার ১০৬ জন। তার মধ্যে মারা গিয়েছিলেন মাত্র ছয় জন।’