যশোরে এক নারীকে নির্যাতন করে চুল কেটে পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার শিকার রওশনারা (৪০) যশোর শহরের চাঁচড়া রায়পাড়া এলাকার জামাল হোসেনের স্ত্রী। ঘটনার তিন দিন পর মঙ্গলবার দুপুরে প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে রওশনারা অভিযোগ করেন, তিনি যশোর শহরের চাঁচড়া রায়পাড়া এলাকার শাজাহানের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। কিন্তু ওই বাড়িতে শাহাজানের স্ত্রীর করুনা বেগম নারীঘটিত নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ড করেন।
এ কারণে ১৫ দিন আগে তিনি ওই বাড়ি ছেড়ে পাশে আমির আলীর বাড়িতে ঘর ভাড়া নেন। রওশনারার অভিযোগ, ৩০ এপ্রিল করুনা বেগমের বাড়িতে স্থানীয় লোকজন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের একটি ঘটনা ধরে ফেলে। অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িতদের মারধর ও জরিমানা করা হয়। কিন্তু এই ঘটনা ধরিয়ে দেয়ার পেছনে রওশনারার হাত রয়েছে এমন সন্দেহ করেন করুনা।
এর জের ধরে ১ মে সন্ধ্যায় করুনা বেগম, তার মেয়ে রিনা খাতুন, রেশমা হিজড়া, সুমি বেগম, রানা সাথী, বিপ্লব ও ভোলা বাড়িতে ঢুকে রওশনারাকে বেধড়ক মারধর করে চুল কেটে দেয়। পরে ইয়াবা দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেয়। পরে পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে সত্যতা না পেয়ে তাকে ছেড়ে দেয়। এরপর যশোর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে তিনি ২ মে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দাখিল করেন।
এ প্রসঙ্গে করুনা বেগম জানান, রওশনারা চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা। তার বাড়িতে থেকে মাদকের কারবার করায় এবং ২২ হাজার টাকা ভাড়া বকেয়া করায় রওশনারাকে তিনি বাড়ি থেকে নামিয়ে দেন। এ কারণে রওশনারা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। ঘটনার দিন রেশমা হিজড়ার সঙ্গে তার মারামারি হয়েছে। এরপর নিজে নিজে চুল কেটে তাকেও ঘটনার সঙ্গে জড়ানোর ষড়যন্ত্র করছে।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, রওশনারা যেভাবে সাংবাদিকদের কাছে উপস্থাপন করেছে ঘটনাটি সেরকম নয়। সে মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে দুটি নিয়মিত মাদক মামলা রয়েছে।