যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) করোনাভাইরাস পরীক্ষায় যশোর এবং ঝিনাইদহ জেলায় আরও ১৮ রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। ৭২টি নমুনা পরীক্ষা করে এই ১৮ জন শনাক্ত হয়।
মঙ্গলবার সকালে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়। এ নিয়ে যবিপ্রবির জিনোম সেন্টারে ৯৩ করোনা রোগী শনাক্ত হলো। এতে যশোর জেলায় করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৪৪ জনে।
যবিপ্রবি জিনোম সেন্টারের সহযোগী পরিচালক ও অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. ইকবাল কবীর জাহিদ জানান, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে সোমবার ১০ম দিনে তিন জেলার ৭২ জনের মধ্যে নমুনা পরীক্ষা করে ১৮ জন কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এর মধ্যে যশোরের ৪৭ জনের মধ্যে নমুনা পরীক্ষা করে ১০ জন এবং ঝিনাইদহের ২৩ জনের মধ্যে নমুনা পরীক্ষা করে আটজনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এ ছাড়া নড়াইলের দুজনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন কোনো রোগী পাওয়া যায়নি।
এর আগে রোববার ৯ম দিনে চার জেলার ৭৮ জনের মধ্যে নমুনা পরীক্ষা করে ১১ জন কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগী শনাক্ত হয়। এর মধ্যে যশোরের আটজনের মধ্যে নমুনা পরীক্ষা করে চারজন এবং ঝিনাইদহের ৩৯ জনের মধ্যে নমুনা পরীক্ষা করে চারজনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এ ছাড়া নড়াইলের ২০ জনের মধ্যে নমুনা পরীক্ষা করে তিন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। তবে মাগুরার ১১ জনের মধ্যে নমুনা পরীক্ষা করে নতুন কোনো রোগী পাওয়া যায়নি।
গত শনিবার ৮ম দিনে চার জেলার ৬৬ জনের মধ্যে নমুনা পরীক্ষা করে ২৭ জন কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগী শনাক্ত হয়েছে।
গত শুক্রবার ৭ম দিনের নমুনা পরীক্ষায় ১২ জন কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগী শনাক্ত হন। এদিন ৫ জেলা থেকে ৯৫টি নমুনা পাঠানো হয়েছিল।
গত বুধবার ষষ্ঠ দিনের নমুনা পরীক্ষায় ১২ জন কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগী শনাক্ত হন। এদিন সাত জেলা থেকে ৮৪টি নমুনা পাঠানো হয়েছিল।
আর গত মঙ্গলবার ৫ম দিনে যবিপ্রবি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় ১৩ জন কোডিভ-১৯ পজিটিভ রোগী শনাক্ত হয়। সব মিলিয়ে এখানে ৯৩ রোগী শনাক্ত হলো।
ফলে এ পর্যন্ত যশোরে ৪৪ জন, ঝিনাইদহে ২২, নড়াইলে ১২, চুয়াডাঙ্গায় ছয়, মাগুরা ও কুষ্টিয়ায় চারজন করে এবং মেহেরপুরে দুজন রোগী শনাক্ত হলো। যবিপ্রবিতে সাত জেলার নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে।
এদিকে অবনতিশীল পরিস্থিতিতে জেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সমন্বয় কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোমবার সকাল ৬টা থেকে যশোরে লকডাউন শুরু হয়েছে।
যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। অথচ কোনোভাবেই মানুষকে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী শৃঙ্খলার মধ্যে আনা যাচ্ছে না। সে কারণে আরও কঠোর পদক্ষেপ হিসেবে গোটা যশোর জেলাকে লকডাউন করা হয়েছে।