করোনা সংক্রমণ বিস্তাররোধে ভারত থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় ফিরে আসা আরো ৬৫ বাংলাদেশি নারী-পুরুষ ও শিশুকে ১৪ দিনের জন্য যশোরের ঝিকরগাছা গাজীর দরগায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন থেকে এসব যাত্রীদের পুলিশ ও সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হয়।
সোমবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত এসব বাংলাদেশি চিকিৎসা, ব্যবসা ও ভ্রমণ শেষে ভারতের পেট্রাপোল চেকপোস্ট হয়ে বেনাপোল চেকপোস্টে আসেন। এ সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় ইমিগ্রেশনে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হয়।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেডিক্যাল অফিসার ডাক্তার জাহিদুল ইসলাম জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা রয়েছে গত ৬ এপ্রিল থেকে যারা ভারত থেকে ফিরবেন তাদের ১৪ দিন বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। গত ৬ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত ভারতফেরত ৫২৮ জনকে বেনাপোল পৌর বিয়েবাড়ি ও যশোর গাজীর দরগাহ প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। তবে এদের মধ্যে যারা জটিল রোগে আক্রান্ত তাদেরকে যশোর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
গত ৫ এপ্রিল ভারত থেকে ফিরে আসার পথে শরীরের অতিরিক্ত তাপমাত্রা থাকায় করোনা আক্রান্ত সন্দেহে তাদেরকে শার্শা উপজেলা আইসোলেশনে রাখা হয়। পরে তাদের শরীরের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। তাদের নেগেটিভ ফলাফল এসেছে বলেও জানান এ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
এদিকে যশোর সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানিয়েছেন, সোমবার পর্যন্ত যশোরে কোয়ারেন্টিনে ছিলেন ৩৬০২ জন। তাদের ভেতর ২৭১০ জনকে কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন ৩০১০ জন। ২৪৭৪ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে ছিলেন ৫৯২ জন। ছাড়পত্র দেওয়া হয় ২৩৬ জন। যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে পাঁচজন, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে দুজন রোগী, দুজন ভিজিটর এবং মহিলা কোয়ারেন্টিন ওয়ার্ডে দুজন মস্তিকবিকৃত ভবঘুরে ছিল বলে হাসপাতালের আরএমও ডা. মো. আরিফ আহমেদ জানিয়েছেন।