যশোর সদর হাসপাতাল থেকে পালিয়ে আসা এক যুবকের বাড়ি লকডাউন করে রেখেছে গ্রামবাসী। তিনি ১৮ দিন আগে নারায়ণগঞ্জ থেকে বেনাপোলে নিজ বাড়িতে আসেন।
ওই যুবকের বাবা জানান, তার ছেলে হাপানি ও এজমা রোগী। হঠাৎ করে তার হাপানি বেড়ে গেলে যশোর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু হাসাপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থা খারাপ দেখে বাড়িতে এনে চিকিৎসা করানো হচ্ছে।
গ্রামবাসীরা জানায়, ওই যুবক ঢাকার নারায়ণগঞ্জে থাকতেন। সেখানে করোনাভাইরাসের রোগী পাওয়ার পর তিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে বেনাপোল ফিরে আসেন। কিছু দিন পর হাপানি ও শ্বাসকষ্ট হলে যশোর সদর হাসপাতালে ভতি করা হয়। সেখানে কিছুদিন চিকিৎসা নেয়ার পর তিনি হাসাপাতাল থেকে পালিয়ে এসে বাড়িতে চিকিৎসা করাচ্ছেন। নারায়ণগঞ্জ থেকে আসার কারণে তার শরীরে করোনাভাইরাসের কোন জীবানু থাকতে পারে- এজন্য তার বাড়ি লকডাউন করে রাখা হয়েছে। তাকে বাড়ি থেকে হতে বের হতে দেয়া হচ্ছে না। তিনি হাসপাতাল থেকে পালিয়ে আসার পর ওই গ্রামে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন খান জানান, ওই যুবক ১৮ দিন আগে নারায়ণগঞ্জ থেকে বেনাপোল এসেছে। আগে থেকে তিনি হাপানি ও এজমা রোগী ছিলেন। বাড়িতে এসে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তিনি চিকিৎসা নেয়ার জন্য যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। কিছু দিন পর তিনি হাসপাতাল থেকে পালিয়ে এসে বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার শরীরে করোনাভাইরাসের কোনো জীবানু পাওয়া যায়নি। প্রশাসন থেকে তার বাড়ি লকডাউন করা হয়নি। তবে তাকে ঘরে থাকতে বলা হয়েছে। ঘর থেকে যাতে বাহিরে বের হতে না পারে তার জন্য পুলিশের নজরদারীতে আছে। তবে সন্দেহভাজন হওয়ায় গ্রামবাসী তার বাড়ি লকডাউন করে রাখতে পারে।