যশোরে সরকারি ত্রাণ না পেয়ে শতাধিক নারী-পুরুষ যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বিক্ষোভ করেছেন।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দেশব্যাপী সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনার মধ্যেই শত শত নারী-পুরুষ বসে বিক্ষোভ করেন ত্রাণের দাবিতে। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রবেশদ্বার বন্ধ করলে তারা কার্যালয় চত্বরে অবস্থান নেয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এই দৃশ্য দেখা গেছে। এর আগে বেলা ১০টার পর থেকে যশোর পৌর কমিউনিটি সেন্টারে ত্রাণ বিতরণ করছিল যশোর পৌরসভা। ত্রাণ বিতরণকালে হাজারো লোক সেখানে ভিড় করে। একপর্যায়ে দুপুরে ত্রাণ বিতরণ শেষ হয়ে যায়। তখনো ত্রাণের অপেক্ষায় ছিলেন শত শত নারী-পুরুষ । এমতাবস্থায় ত্রাণ না পেয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন তারা। পরক্ষণে বেলা দেড়টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অবস্থান নেন বিক্ষুব্ধরা।
যশোর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আনোয়ারা জানান, ‘আমি স্বামী পরিত্যক্তা। এক ছেলে আছে সেও প্রতিবন্ধী। প্রতিদিন ভিক্ষা করে সংসার চালাতাম। পৌরসভার বাসিন্দা হয়েও ত্রাণ পাচ্ছি না। পৌরসভার ত্রাণ গরিব লোকে পাই না; পাচ্ছে বড় লোকেরা’।
পালবাড়ি পুলিশ লাইন বিস্ত এলাকার বাসিন্দা জাফর শেখ জানান, ‘তিন দিন ধরে আসছি কোন ত্রাণ পাইনি। চাল নিতে আসার কারণে তাড়িয়ে দিয়েছে পৌরসভার লোকজন। তাই আমরা ডিসি স্যারের কাছে এসেছি। কিন্তু তিনিও আমাদের কথা শুনলেন না’।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ বলেন, এখন পর্যন্ত যশোর জেলায় ২০ হাজার পরিবারকে সরকারি ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। কিছু লোক ত্রাণ না পেয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। তাদের ব্যাপারে পৌরসভার মেয়রের সঙ্গে কথা বলেছি।
এ বিষয়ে যশোর পৌরসভার সচিব আজমল হোসেন বলেন, যশোর পৌরসভায় ৫ হাজার পরিবারকে এখন পর্যন্ত ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। যারা বিক্ষোভ করেছেন পৌরসভার ত্রাণের তালিকায় তাদের কোন নাম নেই। জেলা প্রশাসক স্যার যশোর পৌরসভাকে অবহিত করলে তাদের ডেকে এনে ত্রাণ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে যশোর পৌরসভা।