ফুটপাতে সবার চোখের সামনে পড়ে থাকেন কিছু মানুষ। সড়কই তাদের ঘর, ফুটপাত তাদের বিছানা। এসব মানুষ রাস্তায় বসে খান, রাস্তাতেই ঘুমান।অসুস্থ হলে সেখানেই পড়ে থাকেন তারা।
করোনা সংক্রামকে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত, অপরাধ দমন ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের রুটিন কাজের বাইরেও অসহায় মানুষের সেবায় এগিয়ে এসেছেন যশোরের তিন মানবিক পুলিশ সদস্য।
শুক্রবার সন্ধ্যায় যশোর শহরের বারান্দিপাড়া মোল্লা পাড়া থেকে ৯৯৯ ফোন করে এক যুবক জানান মসজিদের সামনে এক মানসিক প্রতিবন্ধি চার দিন ধরে পরে আছে।
এ সময় কোতোয়ালী মডেল থানার এএসআই সিরাজুল আওয়ালাদ সুমন ও এএসআই সেকেন্দার আলী , এসআই আল- আমিন দেবদূতের মতোই এগিয়ে আসেন মানসিক প্রতিবন্ধি ওই ব্যক্তির পাশে।
এরপর তারা তাকে উদ্ধার করে সাথে সাথেই নিজেদের পকেটের টাকা খরচ করে ঔষধের ব্যবস্থা করেন এবং পেট ভরে খাওয়ার ব্যবস্থা করেন তার পর যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। যতদিন সুস্থ না হবে মানসিক প্রতিবন্ধি ব্যক্তির দায়িত্ব নিয়েছেন ওই তিন পুলিশ সদস্য।
এসআই সিরাজুল আওলাদ সুমন জানান, করোনা ভাইরাসে দেশ লগডাউন। মানসিক প্রতিবন্ধি মানুষরা অপরের সহযোগীতার উপর নির্ভর করেন। কিন্তু বর্তমান সকলে বাড়িতে অবস্থান করায় বিপাকে পড়েছেন এ সব মানুষেরা।
যশোর পুলিশের একদল সদস্য রয়েছে, পুলিশের ইউনিফর্ম গায়ে থাকলেও তাদের কাজ ভিন্ন। অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা অপরাধীদের পেছনে ছুটলেও তাদের চোখ খোঁজে ফুটপাতের সহায়হীন বেওয়ারিশ মানুষগুলোকে।
অসহায় মানুষগুলোর পাশে সহায় হয়ে দাঁড়ান তারা। মানবসেবার মানসিকতাই তাদের এ কাজে উদ্বুদ্ধ করে।
ফার্স্ট এইড বক্স আর চিকিৎসার নানা সরঞ্জাম নিয়ে তারা ঘোরেন পথে পথে। সড়কে পড়ে থাকা আধমরা পাগলটার পাশে কেউ না ঘেঁষলেও তারা তাকে সুস্থ করে তুলবেন এটাই তাদের প্রত্যাশা।