যশোরে প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার কৃষকের মধ্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ১ কোটি ৩৭ লাখ ১০ হাজার ৮০০ টাকা ব্যয়ে এসব উপকরণ বিতরণ করেছে। ভুট্টা, সরিষা, তিল ও মুগডালের আবাদ প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় এসব বীজ ও সার কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ২০১৯-২০ রবি মৌসুমে ভুট্টা ও সরিষা এবং পরবর্তী খরিপ-১ মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন তিল, গ্রীষ্মকালীন মুগের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে বিনা মূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়েছে। এসব উপকরণ জেলার আটটি উপজেলার ১৩ হাজার ৩০০ জন কৃষকের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে যশোর সদর উপজেলায় দুই হাজার, শার্শায় ১ হাজার ৮০০, ঝিকরগাছায় ১ হাজার ৬০০, চৌগাছায় ১ হাজার ৭০০, অভয়নগরে ১ হাজার ৩৫০, বাঘারপাড়ায় ১ হাজার ৪০০, মণিরামপুরে ২ হাজার ১০০ ও কেশবপুর উপজেলায় ১ হাজার ৩৫০ জন কৃষক প্রণোদনার বীজ ও সার পেয়েছেন।
কৃষি অফিস সূত্র জানায়, গত মৌসুমে কৃষকের এ সংখ্যা ছিল ১৬ হাজার ২৫ জন। অর্থাৎ গত মৌসুমের তুলনায় এবার জেলায় ২ হাজার ৭২৫ জন কম কৃষক প্রণোদনার বীজ ও সার পেয়েছেন। কৃষকরা এবার পাঁচ হাজার কেজি সরিষা এবং ১০ হাজার কেজি ভুট্টা পেয়েছেন। এছাড়া তারা ১ হাজার ১০০ কেজি তিল, ১১ হাজার কেজি মুগডালের বীজ পাবেন। এর মধ্যে পাঁচ হাজার কৃষক দুই কেজি করে ভুট্টার বীজ, পাঁচ হাজার কৃষক এক কেজি করে সরিষার বীজ পেয়েছেন। আগামী খরিপ-১ মৌসুমে ২ হাজার ২০০ কৃষক পাঁচ কেজি করে মুগডালের বীজ, ১ হাজার ১০০ কৃষক এক কেজি করে তিলের বীজ পাবেন। এছাড়া প্রত্যেক কৃষক ভুট্টা, সরিষা ও তিল চাষের জন্য ২০ কেজি করে এবং মুগডাল চাষের জন্য ১০ কেজি করে মোট ২৪৪ টন ডিএপি (ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট) এবং ১০ কেজি করে ১৩৩ টন এমওপি (মিউরেট অব পটাশ) সার পেয়েছেন।
গত ৮ নভেম্বর থেকে কৃষকদের মধ্যে এসব উপকরণ বিতরণ শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে ভুট্টা ও সরিষার বীজ এবং সার বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। তবে মুগডাল ও তিলের বীজ এখনো বিতরণ করা হয়নি। আগামী ২ ফেরুয়ারি পর্যন্ত এ বিতরণ কার্যক্রম চলবে।
শার্শা উপজেলার শালকোণা গ্রামের সাহেব আলী জানান, ভুট্টা ও সরিষার বীজ এবং সার তিনি পেয়েছেন। এরই মধ্যে দুই বিঘা জমিতে ভুট্টা ও এক বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, যশোর কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. এমদাদ হোসেন সেখ বলেন, ভুট্টা, সরিষা, মুগ ও তিলের সর্বশেষ আধুনিক জাত বিস্তারের জন্য বরাদ্দ সাপেক্ষে জেলার ১৩ হাজার ৩০০ কৃষকের মধ্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে কৃষকদের ভুট্টা ও সরিষার বীজ এবং সার পেয়েছেন। শিগগিরই কৃষকদের মধ্যে মুগডাল ও তিলের বীজ বিতরণ শুরু করা হবে।
তিনি বলেন, ‘বীজ ও সার বিতরণ করায় কৃষকরা উপকৃত হবেন এবং জেলায় ভুট্টা, সরিষা, মুগ ও তিলের আবাদ বাড়বে।’