যশোরের ঝিকরগাছায় মাঠে হেমন্তের রোপা আমনের ম,ম গন্ধ থাকলেও বাড়িতে নেই নতুন ধানকে ঘিরে নবান্ন উৎসব। বরং ধানের দাম না থাকায় কৃষকের কপালে দেখা গেছে চিন্তার রেখা। নতুন ধানের দাম নিয়ে কৃষক রীতিমতো বিপাকেও পড়েছেন।
চলতি বছর উপজেলায় রোপা আমন ধান চাষে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৮ হাজার হেক্টর। চাষ হয়েছে ১০০ হেক্টর বেশি জমিতে। উৎপাদিত ধানের পরিমাণ ৮৫ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় কৃষক মাঠ থেকে ধান কেটে বাড়ি আনার পরপরই দাম পড়তে শুরু করেছে। অনেক হাট-বাজারে ধান বিক্রি না হওয়ারও অভিযোগ করেছেন কৃষকরা। গত কয়েকদিন ধরে উপজেলার বাঁকড়া, ছুটিপুর, গদখালীসহ, ছোট বড় হাট-বাজারে নতুন ধান বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৫৭০টাকা মণ। তাও আবার বেঁচে দিতে হচ্ছে আড়ৎদারদেরকে। অপর দিকে ভরা মৌসুমেও শীতকালীন শাকসবজীর দাম আকাশ ছোঁয়া।
উপজেলার বাকড়া গ্রামের কৃষক বাবলু মিঞা জানান, এক বিঘা জমিতে ১৪ মণ ধান পেয়েছেন। ধান বিক্রি করেছেন ৫৬০ টাকা করে।
উপজেলার সংকরপুর গ্রামের কৃষক মতিয়ার রহমান জানান, ১০ বিঘা জমিতে রোপা আমন ধানের আবাদ করেছেন। বাজার দর হিসেবে ধান কাটা, বাঁধা, মাড়াই করে আড়তে পৌছাতে যে খরচ হচ্ছে, সে টাকায়ও ধান বিক্রি হচ্ছে না। ফলে প্রতি মণ ধানে কৃষককে গচ্চা গুণতে হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকা।
ঝিকরগাছা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ হাসান পলাশ জানান, অন্য সময়ের তুলনায় এবার ফসল উৎপাদন ভালো হয়েছে। দাম বাড়ার বিষয়ে কৃষকেরা হতাশ হলেও ধানের মূল্য আস্তে আস্তে বাড়বে। সরকার এ ব্যাপারে সচেতন হয়েছে।