যশোরে কলেজছাত্র সোহাগ ওরফে মাইকেল হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। একই সঙ্গে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে তিন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রধান আসামি রাকিবের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক ও পূর্ববিরোধের জের ধরে সোহাগ ওরফে মাইকেলকে হত্যা করা হয়।
সোমবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত সুপার মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম প্রেসব্রিফিং করে এ তথ্য জানান।
সোহাগ হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃতরা হলেন, শহরের মোল্যাপাড়ার মৃত খায়রুল ইসলামের ছেলে রায়হান (২১), একই এলাকার নগেন কুমারের ছেলে কালিপদ (২৪) ও ছোট শেখহাটির ওহেদ আলীর ছেলে দাউদ (২১)। একই সঙ্গে হত্যার কাজে ব্যবহৃত ছুরি, ঘুমের ওষুধ মেশানো মদের বোতল ও তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। রোববার বিকেলে ঢাকার চকবাজার ও সোমবার ভোররাতে যশোর শহরের মোল্যাপাড়া থেকে তাদের গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
অতিরিক্ত সুপার মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, গত ২১ অক্টোবর দিবাগত রাতে যশোর শহরের মোল্যাপাড়া নদীর পাড়ে কলেজছাত্র সোহাগ ওরফে মাইকেলকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় যশোর কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা হয়। ওই মামলার আসামি রাকিব ও কোরবান আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মফিজুল ইসলাম প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিশ্চিত হন আরেক আসামি রায়হান রাজধানীতে অবস্থান করছে। রোববার বিকেলে ঢাকার চকবাজার এলাকা থেকে রায়হানকে আটক করা হয়। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী যশোর শহরের মোল্যাপাড়া থেকে কালিপদ ও দাউদকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম আরও বলেন, আসামি রাকিবের স্ত্রী অনন্যার সঙ্গে সোহাগের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। এছাড়াও অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্ক, বিভিন্ন পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সোহাগকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে ৬ আসামি সোহাগকে মদের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে চাকু দিয়ে বুক, পিঠ ও গলায় ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে। এছাড়াও ইতোপূর্বে নীলগঞ্জে স্কুলছাত্র রাকিব হত্যার সঙ্গে আসামিদের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলেও জানিয়েছেন অতিরিক্ত সুপার মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
সূত্র: জাগোনিউজ