শনিবার দুপুর ২টা। শহরের পিটিআই সড়ক দিয়ে বয়স্ক এক যাত্রী নিয়ে ঝড়ের বেগে ছুটছিলো ব্যাটারিচালিত একটি রিকসা। ভাঙ্গাচোরা রাস্তা দিয়ে এমন দ্রুতগতিতে চলায় অন্য পথচারীরা ভয়ে আতকে উঠে, না জানি কখন ঘটে দুর্ঘটনা। শহরে প্রতিনিয়ত এমন চিত্র দেখা যায়। ঠিক তেমনি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকগুলোও এমনি বেপরোয়াভাবে চলাচল করে। যা রীতিমতো পথচারীদের শঙ্কিত করে। এমন বেপরোয়া গতিতে চলার কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।
শহরের ষষ্ঠীতলা এলাকার বাসিন্দা নূর আলম বলেন, নিয়ন্ত্রহীনভাবে শহরে ব্যাটারিচালিত রিকসা চলাচল করে। রাস্তা পার হতে ভয় লাগে। অনেক সময় রাস্তা পারাপারের জন্য অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। পথচারী ফাতেমা বেগম জানান, ব্যাটারিচালিত রিকসা দ্রুতগতিতে চালানোর কারণে, তিনি একদিন মেয়েকে নিয়ে স্কুল থেকে ফেরার পথে রিকসা উল্টে আহত হয়েছিলেন।
তবে অনেক রিকসাচালক যাত্রীদের দোষ দিয়েছেন। সাইফুল ইসলাম নামে এক রিকসাচালক বলেন, অনেক সময় যাত্রীদের জন্যও বেপরোয়াভাবে রিকসা চালাতে হয়। যাত্রীরা কম সময়ে তাদের গন্তব্য স্থানে পৌঁঁছাতে চায় এবং দ্রুত যেতে বলেন। এতে তাদের দুর্ঘটনায় পড়তে হয়।
যশোর পৌরসভার সহকারী লাইসেন্স ইন্সপেক্টর মঞ্জুর হোসেন রতন জানান, একসময় শহরে সাড়ে ৮ হাজারের মতো রিকসা চলাচল করতো। সেটা কমে ৫ হাজারের নিচে এসেছে। তবে পৌরসভা লাইসেন্স দিতে গতবছর ১৫শ’ প্লেট করেছিল। কিন্তু সবাই নিতে আসেনি। তার হিসেবে এক হাজার মতো রিকসার লাইসেন্স আছে। যেগুলো পায়ে চালানো হয়। তবে ব্যাটারিচালিত রিকসাগুলোকে পৌরসভা লাইসেন্স দেয় না।
এদিকে সড়কে চলাচলকারী অনেকে মনে করেন, প্রধান প্রধান সড়কে যত্রতত্র ওইসব রিকসা দাঁড়িয়ে থাকায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। যার কারণে সড়কে অন্যান্য বাহন চলাচল দুষ্কর হয়ে পড়েছে। এসব অবৈধ ব্যাটারিচালিত রিকসা চলাচলে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ দাবি করেন পথচারীরা।
এ বিষয়ে যশোর পৌরসভার সচিব আজমল হোসেন বলেন, প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাঝে মাঝে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু চালকরা একবার ডিসি অফিস ঘেরাও করেছিল। তাদের দাবি (চালক)। রিকসা চালিয়ে এই কাজে তাদের সংসার চলে। ব্যাটারিচালিত রিকসাগুলো বন্ধ করে দিলে তাদের সংসার চালানো কঠিন হয়ে যাবে। সচিব আরো জানান, পৌরসভার কিছু পদক্ষেপে বেপরোয়াভাবে রিকসা চালানো থেকে চালকরা কিছুটা সাবধানতা অবলম্বন করেছেন।
নিউজ সূত্র ঃ সমাজের কথা