দেশের প্রথম বর্জ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র স্থাপিত হচ্ছে যশোরে। এ কেন্দ্রে আবর্জনা প্রক্রিয়া করে উৎপাদন করা হবে বায়োগ্যাস, বিদ্যুৎ ও জৈব সার। ইতোমধ্যে প্রকল্পের ৫০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। যশোর পৌরসভার এমন উদ্যোগে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন দীর্ঘদিন দুর্গন্ধের মধ্যে বসবাস করা এলাকাবাসী। আর পৌর কর্তৃপক্ষ বলেছে, পরিচ্ছন্ননগর গড়তেই এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
যশোর পৌরসভার ব্যবস্থাপনায় শহরতলীর ঝুমঝুমপুর আবর্জনা কেন্দ্রে স্থাপন করা হচ্ছে বর্জ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র। সরকার ও এডিবি’র আর্থিক সহযোগিতায় সিটি রিজিওন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ২০ বছর মেয়াদী এ প্রকল্পে প্রতিদিন ৪৫ টন আবর্জনা প্রক্রিয়াজাত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে শুরুতে এ কেন্দ্র প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ টন বর্জ্য প্রক্রিয়াজাত করে বায়োগ্যাস, জৈব সার ও বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। প্রকল্প এলাকায় বায়োগ্যাস ও সার বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি করা হবে। এছাড়া উৎপাদিত বিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকায় আলোকিত করা ছাড়াও বিভিন্ন প্লান্টে ব্যবহার করা হবে। পৌরসভার এ উদ্যোগে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন দীর্ঘদিন দুর্গন্ধের মধ্যে বসবাস করা এলাকাবাসী। তারা বলেছেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে তারা পরিবেশ নির্যাতন থেকে মুক্তি পাবে।
যশোর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম শরীফ হাসান বলেন, এখানে বর্জ্য প্রক্রিয়াজাত করে বায়োগ্যাস, জৈব সার ও বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। যাতে শহরবাসীর ফেলে দেয়া আবর্জনা কাজে লাগিয়ে শহরকে উপকৃত করা যায়। একইসাথে এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দুর্গন্ধ দূর করা যায়।
প্রকল্পের কাজে সম্পৃক্ত যশোর পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী লিটন হোসেন জানান, ইতোমধ্যে প্রকল্পের ৫০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ শেষ করার জন্য কর্তৃপক্ষ দ্রুতগতিতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
যশোরকে পরিচ্ছন্ন নগর হিসেবে গড়ে তুলতেই এ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান যশোর পৌরসভা মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু। তিনি বলেন, প্রকল্পটি সচল রাখতে আবর্জনা সংগ্রহে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ৯০টি কন্টেইনার ডাস্টবিন ব্যবহার করা হবে। এছাড়াও চৌগাছা, অভয়নগর ও ঝিকরগাছা পৌরসভা থেকেও প্রতিদিন বর্জ্য সংগ্রহ করা হবে।
ছবিঃ নিউজ ২৪