স্বামী ও শাশুড়ির নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে বাবার বাড়িতে যাওয়ার সময় এক নববধূ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
পুলিশ ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে আটক করেছে।
পুলিশ নববধূকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চৌগাছার স্বরূপদাহ ইউনিয়নে একটি গ্রামে এক মাস আগে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামী ও শাশুড়ি নির্যাতন করতে থাকে।
গেল সোমবার রাত আটটার দিকে স্বামীর বাড়ি থেকে পালিয়ে বাবার বাড়িতে যাওয়ার জন্য বের হয় নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ। চৌগাছা মহেশপুর সড়কের হাজতখানা মোড়ের শহিদ আলীর চায়ের দোকানের পাশে গিয়ে দাঁড়ায় নববধূ। এ সময় শহিদ আলী ফুসলিয়ে দোকানের পাশে মেহগনি বাগানে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। এরপর ওই নববধূকে দোকানের পাশে আব্দুল করিমের বাড়িতে রাখে। রাতে ওই বাড়িতে আব্দুল করিম তাকে শ্লীলতাহানী ঘটায়।
গেল মঙ্গলবার সকালে সে বাড়িতে গিয়ে বাবা- মাকে বিস্তারিত জানায়। বিকেলে শহিদ আলী ও আব্দুল করিমের বিরুদ্ধে চৌগাছা থানায় মামলা করেন গৃহবধূ।
পুলিশ বুধবার দুপুরে শহিদ আলীও আব্দুল করিমকে গ্রেপ্তার করেছে।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিফাত খান রাজীব জানান, আসামিদের বুধবার দুপুরে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আর অভিযোগকারী নববধূকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।