শার্শা উপজেলার দক্ষিণ বুরুজবাগান গ্রামের তোজাম হত্যা মামলার ১১ আসামিকেই খালাস দিয়েছেন আদালত। স্বাক্ষ্য প্রমাণে আসামিদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারায় বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক জেলা ও দায়রা জজ ইখতিয়ারুল ইসলাম মল্লিক এ রায় দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী আব্দুল্লাহ-হেল-কাফি মিলন । খবর:সমাজের কথা..
খালাসপ্রাপ্তরা হলো, নাভারণ কামারবাড়ি গ্রামের আব্দুর রহিম সরদার, সোহানুর রহমান সোহান, মিঠুন হোসেন, আব্দুল আজিজ, উত্তর বুরুজবাগান গ্রামের মনিরুজ্জামান মনির, দক্ষিণ বুরুজবাগান গ্রামের সুজন হোসেন, নাভারণ রেলবাজার এলাকার ইয়াছিন আলী, ইমরান হোসেন, নিশ্চিন্তপুর গ্রামের আরমান হোসেন, ঝিকরগাছা উপজেলার নবীবনগর গ্রামের অনিক হোসেন ও গদখালি গ্রামের সাকিল হোসেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৪ ডিসেম্বর রাতে তোজামকে একটি সালিশে রহিম সরদার তার বাড়িতে ডাকেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে তোজাম নাসির নামে একজনকে সাথে নিয়ে যান। রাত ৯টার দিকে সালিশ শেষে তোজাম ও নাসির মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন।
পথিমধ্যে কামারবাড়ি মোড়ে পৌছালে একদল সন্ত্রাসী তাদের পথরোধ করে তোজাম ও নাসিরকে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। গুরুতর আহত তোজামকে প্রথমে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল এবং পরে ঢাকায় নেয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ ব্যাপারে তোজাম মারা যাওয়ার আগে নিহতের পালিত পিতা সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে শার্শা থানায় মামলা করেন। তদন্তকালে তোজামের মৃত্যু হওয়ায় হত্যা চেষ্টা মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর হয়। তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ১৪ জুন ওই ১১ জনকে অভিযুক্ত করে যশোর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মনিরুজ্জামান।
স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বিচারক সকল আসামিকে খালাস দিয়েছেন।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুর রহিম সরদার জানিয়েছেন, তাকে ষড়যন্ত্রভাবে মামলায় জড়ানো হয়েছিল। আদালতে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় বিচারক তাকেসহ অন্যদের খালাস দিয়েছেন।
নিউজ সূত্রঃ বেনাপোল প্রতিদিন