যশোর সদর উপজেলার ডহেরপাড়া গ্রামে সোনিয়া বেগম (২০) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তিনি ওই গ্রামের অ্যাডভোকেট আমির হোসেনের স্ত্রী এবং সদর উপজেলার লেবতলা পূর্বপাড়ার সিরাজ উদ্দিনের মেয়ে।
সোনিয়ার স্বামীর স্বজনরা জানান, শনিবার বিকেল ৫টার দিকে সোনিয়া গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
তবে নিহত সোনিয়া বেগমের ভাই রাকিব হোসেন জানান, সোনিয়া বেগমের সাথে অ্যাডভোকেট আমির হোসেনের সাথে ছয় মাস আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের মধ্যে প্রায়ই মনোমানিল্য হতো। শনিবার বিকেলে স্বামী আমির হোসেন লাঠি দিয়ে সোনিয়াকে মারপিট করে। এসময় তার মৃত্যু হয়। আমির হোসেন এসময় তার লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করতে থাকে। স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে পুলিশকে সংবাদ দেয়।
ইউপি সদস্য আসলাম হোসেন জানান, অ্যাডভোকেট আমির হোসেন একাধিক বিয়ে করেছেন। নির্যাতনের কারণে তার স্ত্রীরা চলে যায়। এছাড়া শহরের একটি পতিতাপল্লীর সরদার্ণীকে বিয়ে করে বেশ কিছুদিন থেকে তার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন আমির। এই ঘটনায় রানু বেগম নামে ওই পতিতার দায়ের করা মামলা এখনো চলমান।
এছাড়া ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হওয়ার পর যশোর জেলা আইনজীবী সমিতি তাকে এক বছরের জন্য আদালত চত্বরে নিষিদ্ধ করেছে।
খবর পেয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মনিরুজ্জামান ও যশোর সদর উপজেলার লেবুতলা পুলিশের ইনচার্জ এসআই আব্দুল হালিম ঘটনাস্থলে যান।
তিনি আরো জানান, যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে লাশের ময়নাতদন্ত হয়েছে। পোস্টমর্টাম রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর প্রকৃত ঘটনা জানাযাবে বলে ওসি জানান।
প্রসঙ্গত, সোনিয়া বেগমের এর আগে বিয়ে হয়েছিল এক পুলিশ সদস্যের সাথে। ওই ঘরে একটি মেয়েও রয়েছে। পুলিশ স্বামীর মৃত্যু হলে আমির হোসেনকে বিয়ে করেন।