সড়ক আইন সংশোধনসহ ১০ দফা দাবিতে যশোরসহ খুলনা বিভাগে চলছে পরিবহন ধর্মঘট। এতে বিপাকে পড়েছেন বাসযাত্রীরা।
দূর-দূরান্তে যাতায়াতে সাধারণ মানুষের ভরসা রেল। সোমবার যশোর রেলওয়ে জংশনে ছিল যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। যাত্রী সামলাতে হিমশিম রেল স্টেশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও।
যাত্রীরা জানিয়েছে, দু-একটি বাস মাঝে মধ্যে ছেড়ে যাচ্ছে। তবে অন্যান্য জেলা থেকে ছেড়ে আসা বাসগুলো আর ফিরে যাচ্ছে না গন্তব্যে। বাস চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ায় পথে নেমে দুর্ভোগে পড়েছেন বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীরা। বাধ্য হয়ে বিকল্প যানে গন্তব্যে পাড়ি দিচ্ছেন লোকজন।
সোমবার যশোর রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, বাস চলাচল বন্ধ থাকায় যাতায়াতের একমাত্র ভরসা হচ্ছে ট্রেন। ছেড়ে যাওয়া প্রতিটি ট্রেনেই মাত্রাতিরিক্ত ভিড়। ট্রেনের বগিতে, পা দানি থেকে শুরু করে টয়লেটের দরজায় তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। গত দুই দিনে এমন পরিস্থির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানালেন সংশ্লিষ্টরা।
যশোর রেল স্টেশনে হামিদ আলী নামে এক যাত্রী বলেন, জরুরি কাজে ঢাকায় যাবো। কিন্তু দূরপাল্লার কোনো বাস না পেয়ে ট্রেনে যাবো। সিট না থাকাতেও বিপাকে পড়েছি।
আরেক যাত্রী মরিয়ম আক্তার বলেন, পরিবহন ধর্মঘটে বিপাকে পড়েছি। তাই বিকল্প ব্যবস্থায় ট্রেনে ঢাকায় যাচ্ছি। সিট না পেলেও দাঁড়িয়ে যেতে হচ্ছে। ট্রেন সময় মত আসছে না।
যশোর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার সাইদুজ্জামান জানান, যশোর অঞ্চলের বাস চলাচল বন্ধ থাকায় প্রভাব পড়েছে ট্রেনে। শিডিউল বিপর্যয়ের সঙ্গে উপচে পড়া ভিড়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে।