যশোর শহরের হুশতলা এলাকায় এক কিশোরী (১৫)কে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার রাতে এ ঘটনার পরের দিন শনিবার বিকেলে ওই কিশোরীকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তির পর বিষয়টি জানাজানি হয়।
ভিকটিম জানায়, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে শহরের বকচর এলাকায় তার এক বান্ধবীর বাড়ি থেকে রিকশাযোগে মনিহার বাসস্ট্যান্ডে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে র্যাব অফিসের সামনে পৌঁছলে একটি মাইক্রোবাস রিকশার গতিরোধ করে। এসময় দুর্বৃত্তরা অস্ত্র ঠেকিয়ে তার চোখ বেঁধে তুলে নিয়ে যায়।
ভিকটিম জানায়, এরপর তাকে শহরের অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে ছয় যুবক ধর্ষণ করে। এদের মধ্যে ভাগ্নে মামুন ও ভাগ্নে হৃদয়কে চিনতে পেরেছে সে। সেখান থেকে শনিবার সকালে বোনের বাড়িতে গেলে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে বিকেল তিনটার দিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালের চিকিৎসক হালিমাতুজ জোহরা জানান, ভিকটিমের ক্ষতস্থানে সেলাই দেওয়া হয়েছে। আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। রিপোর্ট আসার পর বিস্তারিত জানা যাবে।
কোতয়ালি থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, ভিকটিম পরিচয় গোপন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। পরে তার মা সনাক্ত করেছে। কিন্তু ভিকটিম মায়ের সঙ্গে মানসিক ভারসাম্যহীনের (মেন্টাল) মত আচরণ করছে।
তিনি বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পায়নি। কেউ আটকও হয়নি। তবে আমরা তদন্ত করছি। মেডিকেল রিপোর্ট পাওয়ার পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। তারপর ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।