দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলা যশোরে। আজ মঙ্গলবার সেখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ময়মনসিংহে। সেখানে আজ তাপমাত্রা ছিল ২১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
অন্যদিকে দেশের অধিকাংশ অঞ্চলের ওপর দিয়ে যে মৃদু তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তা অপরিবর্তিত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। একই সঙ্গে সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
শনিবার ১৮ মে দুপুর তিনটা পর্যন্ত যশোরে তাপমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দেশের সর্বোচ্চ হিসেবে রেকর্ড করা হয়। প্রচন্ড এই তাপদাহের কবলে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। গরমে নাজেহাল হওয়া মানুষ জানিয়েছেন, ঘরে বাইরে কোথাও শান্তি নেই। বাইরে বের হলে মনে হয়েছে মাটি থেকে ওঠা গরম তাপে যেন শরীর পুড়ছে। চারিদিকে লু হাওয়া বইছে। ঘরে ফ্যানের বাতাসও গরম অনুভূত হয়েছে। শরীর ঘর্মাক্ত হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে বলা হয় , এদিন সকাল থেকে দুপুর বারোটা পর্যন্ত শতকরা ১ ভাগ বৃষ্টির সম্ভাবনা ছিল। এরপর থেকে শূন্য ভাগে নেমে আসে। বিকেলের পর থেকে হালকা বাতাস হলেও তাপমাত্রা কমেনি। বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকায় বেশি যশোরে তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে। তাপদাহ অব্যাহত থাকতে পারে। শনিবার দুপুর পর্যন্ত যশোর শহরের প্রাণকেন্দ্র দড়াটানায় মানুষের তেমন ভিড় ছিলো না। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বাইরে বের হয়নি।
শাহনাজ নামে এক নারী জানান, এই গরমে পথচলা বড় দায়। নিজের জরুরি প্রয়োজনে হাসপাতালে এসেছি। চেষ্টা করছি তাড়াতাড়ি প্রয়োজন মিটিয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়ার। আরেক পথচারী গোলাম ছরোয়ার জানান, প্রচন্ড এই গরমে ঘরে বাইরে কোথাও শান্তি নেই।
কথা প্রসঙ্গে হাসপাতাল মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসা এক যুবক জানান, মসজিদে এসি চলছে তারপরেও যেন গরম বাতাস গা ছুয়ে যাচ্ছে। দাপদাহের কারণে রোজাদাররা রীতিমতো হাপিয়ে উঠছেন। সামান্য শান্তির জন্য মানুষ ছায়া ও শীতল পরিবেশ খুঁজছেন।
সুলতান মিয়া ও গফুর আলী নামে দুই দিন মজুর বলেন, গরমে মনে হচ্ছে মাথা ঘুরে পড়ে গেলাম। বৃষ্টি হলে মানুষ শান্তি পেতেন। এতো গরমে কাজ কর্ম করা যেন অসম্ভব মনে হচ্ছে। তারপরেও অভাবের সংসার। আবার সামনে ঈদ। তাই বাধ্য হয়ে শ্রম বিক্রি করতে হচ্ছে।