যশোরের বেনাপোলে আবদুস ছালাম (৩৫) নামের এক মুদি দোকানিকে হত্যার অভিযোগে স্ত্রী ও তার কথিত প্রেমিককে গ্রেপ্তার করেছে যশোর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যরা।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে ওই দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শার্শা থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, বেনাপোল বন্দর ধানার পাটবাড়ি এলাকার নিহত মুদি দোকানদার আবদুস ছালামের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ও তার কথিত প্রেমিক একই উপজেলার শিকড়ী গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম গাজী।
স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাটবাড়ি এলাকার মুদি দোকানদার আবদুস ছালামের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের সঙ্গে পাশের গ্রামের ইজিবাইকচালক জাহাঙ্গীরের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। ছালামকে নিজেদের মাঝ থেকে সরাতে অনেক দিন ধরে পরিকল্পনা করেন সাবিনা। অবশেষে সুযোগ বুঝে প্রেমিক জাহাঙ্গীরের সহযোগিতা নিয়ে তাকে হত্যা করেন তিনি।
গ্রেপ্তার জাগাঙ্গীরের স্ত্রী রেহেনা বেগম বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে সাবিনা প্রায় দেড় বছর যাবত আসা-যাওয়া করে। এ সময় রেহেনাকে সে (জাহাঙ্গীর) ধর্ম বোন ডাকে। তবে রেহেনার আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় তাকে আমাদের বাড়িতে আসতে নিষেধ করে দেওয়া হয়। পরে তারা বাইরে যোগাযোগ করত।’
যশোর ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহম্মেদ বলেন, ‘আমরা তথ্য- প্রযুক্তির সূত্র ধরে নিহত আবদুস সালামের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করি। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুয়ায়ী ইজিবাইকচালক জাহাঙ্গীরকে আটক করা হয়। তদন্তের স্বার্থে এখনই সব কিছু বলা যাচ্ছে না।’
ওই দুজনকে শার্শা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান মারুফ আহম্মেদ।
এ বিষয়ে শার্শা থানার ওসি এম মশিউর রহমান বলেন, ‘আটকরা হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে যশোর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।’
গত রোববার সন্ধ্যায় ছালাম তার ছেলেকে দোকানে বসিয়ে রেখে ওষুধ কিনতে বাজারে যান। পরে আর তিনি বাড়ি ফেরেননি। রাতভর অনেক জায়গায় খোঁজাখুজি করেও তান সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরদিন সকালে বাড়ি থেকে আট কিলোমিটার দূরে আমড়াখালী রেল ব্রিজের নিচ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।