যশোর জেনারেল হাসপাতালের টিকিট কাউন্টারের সামনে সাইকেল রাখায় কথা কাটাকাটি নিয়ে এক কর্মচারীকে মারপিট করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশের এ মারপিটের ঘটনায় বিক্ষোভ করেছেন হাসপাতালের কর্মচারীরা। সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলাকালে হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম বন্ধ থাকে।
পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ‘খ’ সার্কেল গোলাম রব্বানী ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে সদর কোর্ট থেকে পুলিশলাইনসে ক্লোজ করার ঘোষণা দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
হাসপাতালের প্রহরী পরিতোষ কুমার জানান, সকালে হাসপাতালের কাউন্টারের সামনে ডিউটি করছিলেন। সেই সময় নারী-পুরুষ মিলিয়ে তিন শতাধিক লোক টিকিটের জন্য লাইনে ছিল।
পুলিশ কনস্টেবল বুলবুল তার স্ত্রীকে নিয়ে কাউন্টারে আসেন টিকিট কাটতে। তার সঙ্গে থাকা বাইসাইকেল রাখেন কাউন্টারের পাশে। সাইকেল সরাতে বলায় তিনি পরিতোষের ওপর ক্ষিপ্ত হন। একপর্যায় হাসপাতালের স্টাফ সরোয়ার কী হয়েছে জানতে চান।
এই প্রশ্ন করার সঙ্গে সঙ্গে তার ওপরও চড়াও হন বুলবুল। একপর্যায় পরিতোষের হাতে থাকা লাঠি কেড়ে নিয়ে সরোয়ারকে পেটান পুলিশ সদস্য।
কনস্টেবল বুলবুল বলেন, টিকিট কাটার সময় পাশে বাইসাইকেল রাখলে আমার সঙ্গে মারাত্মক দুর্ব্যবহার করা হয়। দুজনের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির একপর্যায় আমার পোশাক থেকে শোল্ডার টেনে ছিঁড়ে ফেলে তারা। এ সময় তাদের হাতে থাকা লাঠি দিয়ে আমি একটা বাড়ি মেরেছি।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল কালাম আজাদ লিটু বলেন, হাসপাতালে সব সময় যানজট লেগেই থাকে। সে কারণে কয়েকজন গার্ড দিয়ে রেখেছি। ইতোপূর্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত দিয়ে অভিযানও চালানো হয়েছে। আজ একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে গেল। তবে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ‘খ’ সার্কেল গোলাম রব্বানী বলেন, পুলিশ সদস্য বুলবুলকে ক্লোজ করে সদর কোর্ট থেকে পুলিশলাইনসে পাঠানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।