যশোরের মনিরামপুরে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে
ধর্ষণের পর জন্ম নেয়া নবজাতককে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দিয়েছে নরপশু। পরদিন
পুকুর পাড়ে নবজাতকের লাশ নিয়ে কুকুর কাড়াকাড়ি করলে বিষয়টি জানাজানি হয়ে
যায়।
অভিযুক্ত ধর্ষক মনিরুজ্জামান বিপুল উপজেলার ঝাঁপা গ্রামের মশিয়ার সরদারের ছেলে।
এ ঘটনায় গৃহবধূর শ্বশুর বাড়ির লোকজন থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
ভুক্তভোগী
গৃহবধূর অভিযোগ, ঝাঁপা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই রেফাদুল ইসলাম ধর্ষকের
কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন। এসআই
গৃহবধূ ও তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে এ বিষয়ে মুখ না খুলতে চাপ দিচ্ছেন। তবে
এসআই এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
সরেজমিন সোমবার ঝাঁপা গ্রামে গিয়ে
গৃহবধূর সঙ্গে কথা হয়। তিনি এ প্রতিবেদককে কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, স্বামী
বিদেশে যাওয়ার পর থেকে প্রতিবেশী বিপুল তাকে প্রায়ই কু-প্রস্তাব দিত। তিনি
এতে রাজি না হওয়ায় বিপুল তাকে অস্ত্রের মুখে ধর্ষণ করে। পরে বিয়ের প্রলোভনে
বিপুল তাকে প্রায়ই ধর্ষণ করত। একপর্যায় গৃহবধূ অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন।
বিপুল গৃহবধূকে গর্ভপাত করাতে মরিয়া হয়ে ওঠে। কিন্তু গৃহবধূ তাতে রাজি
হননি। এভাবে ৮ মাস পেরিয়ে গেলে ২৩ অক্টোবর বিপুল তাকে জোর করে ওষুধ খাইয়ে
দেয়। এতে গৃহবধূ সন্তান প্রসব করেন। গৃহবধূ অচেতন থাকাবস্থায় বিপুল
নবজাতককে হত্যার পর লাশ পাঙ্গাশ মাছ চাষ করা পুকুরে ছুড়ে ফেলে।
২৪
অক্টোবর স্থানীয়রা দেখতে পান পুকুর পাড়ে এক নবজাতকের লাশ নিয়ে কুকুর
টানাটানি করছে। স্থানীয়রা লাশ উদ্ধার করে দাফন করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে
গৃহবধূ বিয়ের দাবিতে ১৪ নভেম্বর বিপুলের বাড়িতে গিয়ে উঠেন। বিপুল ও তার মা
ছবেদা বেগম তাকে গুম করার চেষ্টা করে। ২০ নভেম্বর রাতে পুলিশ তাকে উদ্ধার
করে শ্বশুর বাড়িতে পৌঁছে দেয়।
গৃহবধূর শ্বশুরের
অভিযোগ, পুত্রবধূকে না পেয়ে ১৯ নভেম্বর তিনি বিপুল, তার চাচা শফিকুল ও মা
ছবেদার নামে থানায় অভিযোগ করেন। এসআই রেফাদুল বিপুলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে
বিষয়টি নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে তাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকি দেন